Newacalled24

পটুয়াখালীতে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়িতে আগুন, পরিকল্পিত হামলা নাকি প্রতিশোধ?

 পটুয়াখালীতে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়িতে দুর্বৃত্তদের আগুন, ঘটনার পেছনে কী?

পটুয়াখালীতে কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়িতে আগুন, পরিকল্পিত হামলা নাকি প্রতিশোধ?


নিউজ ডেস্ক | কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও আলোচিত অ্যাক্টিভিস্ট নুরুজ্জামান কাফির পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যদিও কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ঘটনাটি ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।


আগুনে পুড়লো কী?


স্থানীয় সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডে কাফির বাড়ির একটি বড় অংশ পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কাফির পরিবারের ছয়জন সদস্য প্রাণে রক্ষা পেলেও, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রীসহ আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা এবিএম হাবিবুর রহমান।


কাফির দাবি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড


নুরুজ্জামান কাফি অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের সময় লাইভ করেছিলেন এবং সেখানে স্লোগান দিয়েছিলেন। তিনি মনে করেন, এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে তার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।


তবে কাফির বিরুদ্ধে নানা বিতর্কও রয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অশ্লীল ও বিতর্কিত কনটেন্ট তৈরি করে ভাইরাল হয়েছেন। সম্প্রতি এক বইমেলায় নারীদের হাতে চুমু ও ফুল দেওয়ার একটি কর্মকাণ্ড তাকে আরও সমালোচনার মুখে ফেলে। তার লেখালেখি ও বক্তব্য অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে, বিশেষ করে ধর্মীয় গোষ্ঠী ও রক্ষণশীল মহলের মধ্যে এটি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।


জুলাই আন্দোলন ও ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা


কাফি "জুলাই আন্দোলন" নামে একটি ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তার নেতৃত্বে পটুয়াখালীতে একাধিক ছাত্র আন্দোলন হয়েছে। অনেকের মতে, কাফির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও স্পষ্টভাষী বক্তব্য তাকে শত্রুর মুখোমুখি করেছে।


এটি কি প্রতিশোধমূলক হামলা?


এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে একটি অংশ দাবি করছে, এটি কাফির কর্মকাণ্ডেরই প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন, এটি "কাফির বাবার প্রায়শ্চিত্ত"। তবে অন্যপক্ষ এটিকে পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি করছে এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া


কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম জানান, "ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক


এই ঘটনার প্রতিবাদে কাফি আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক প্রতিবাদী সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।


এই ঘটনার পেছনের আসল কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত প্রয়োজন। এটি ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা—সেটাই এখন প্রশ্ন।


আরও আপডেটের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।



No comments

Powered by Blogger.